উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০/০৮/২০২৪ ১০:৫৫ এএম

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মুরাদপুর এলাকায় হওয়া সংঘর্ষে ফার্নিচার দোকানে কর্মচারী মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় একটি মামলা করেছে তার পরিবার। মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ২৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহত ফারুকের বাবা মো. দুলাল।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী,আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, এসরারুল হক, জহর লাল হাজারি, পুলক খাস্তগীর, মো. মাসুম, নুর মোস্তফা টিনু, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, নগর যুবলীগ সভাপতি মাহাবুবুল হক সুমন ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম এবং নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

নিহত দোকান কর্মচারী মো. ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামে। বিয়ের পর থেকে তিনি কুমিল্লার চান্দিনার বাতাঘাসি ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। চট্টগ্রামে ফার্নিচার দোকানে কাজ করে সচল রেখেছিলেন সংসারের চাকা। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে দোকান থেকে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। পথে আন্দোলকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারি, পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. মাসুম, চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, নগর যুবলীগের সভাপতি মাহাবুবুল হক সুমন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত মো. ফারুক শুলকবহর এলাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। গত ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাষ্টিক এর বিপরীত পাশে জুমাইরা বিল্ডিং এর সামনে যান। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার উপর এলোপাথারিভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়।

এছাড়া দা-কিরিচ, লোহার রড, চাপাতি দিয়ে আঘাতসহ শুটারগান, পিস্তল ইত্যাদি প্রাণঘাতি মরনাস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে বহু ছাত্র-জনতাকে আহত করে। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফারুকের বুকে, পেটে ও পায়ের রানে লাগে এবং তিনি আহত হন। তাকে বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার বিষয়টি সিভয়েস২৪’কে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই মুরাদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকান কর্মচারি ফারুক নিহতের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতে ২৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

নাইক্ষংছড়িতে নাশকতার অভিযোগে মামলা,আটক -৩, এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬৫ জন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে নাশকতার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা ...